পিএসজির দুর্ভাগ্যই বলা চলে। চ্যাম্পিয়নস লিগে ‘এইচ’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পেয়েও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি দলটি। কেননা বেনফিকাও যে সমান ১৪ পয়েন্ট অর্জন করেছে। শুধু তাই নয়; জয়, ড্র, গোল দেওয়া, গোল হজমেও দুই দল ছিল এক বিন্দুতে।
তারপরও কপাল পোড়ে পিএসজির।
চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের নিয়মে বলাই আছে, যখন কোনো উপায়ে দুটি দলের মধ্যে পার্থক্য করা যায় না, তখন প্রতিপক্ষের মাঠে যারা বেশি গোল করবে, তারাই এগিয়ে থাকবে। এ আইনেই পিএসজিকে পেছনে ফেলে বেনফিকা। শীর্ষে থেকে নিশ্চিত করে শেষ ষোল।
অথচ এই হিসাবটা নাকি পিএসজি ফুটবলারদের মাথাতেই ছিল না। বুধবার দিবাগত রাতে একই সময়ে পিএসজি লড়াইয়ে নামে জুভেন্টাসের মাঠে, বেনফিকা আতিথেয়তা নেয় হাইফার মাঠে। দুই দলই তুলে নেয় জয়। পিএসজি জয় পায় ২-১ গোলে। বেনফিকা হাইফাকে উড়িয়ে দেয় ৬-১ গোলে। হাইফার মাঠে এই বড় জয়ই এগিয়ে দেয় বেনফিকাকে।
হাইফার বিপক্ষে বেনফিকা ৩ গোলের বেশি করতে না পারলে পিএসজিই হতো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। মেসি-এমবাপ্পেদের পোড়া কপাল, বেনফিকা তাদের শেষ ৫ গোল তুলে নেয় দ্বিতীয়ার্ধে। এর মধ্যে অন্তিম মুহূর্তে ছিল দুটি। ৮৮ মিনিটে হেনরিক আরাউহোর গোলের পর ইনজুরি সময়ে জোয়াও মারিও দলের জয়ে ষষ্ঠ গোলটি করেন। ফলে শীর্ষস্থান নিশ্চিত হয় পর্তুগিজ ক্লাবটির।
গ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত খেলার পরও রানার্স-আপ হওয়ার হতাশা, দলের অন্যতম সেরা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পে তাই বিমর্ষ। তিনি জানান, এই হিসাবের কথা তাদের মাথাতেই ছিল না। এমবাপ্পে বলেন, ‘ম্যাচ চলাকালে আমরা (বিষয়টি) জানতাম না। তবে শেষ দিকে ডাগআউট থেকে বিষয়টি আমাদের জানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তখন আর কিছু করার ছিল না। ’
রানার্স-আপ হওয়ায় শেষ ষোলতেই বড় দলগুলোর সামনে পড়তে পারে পিএসজি। ড্রয়ে তাদের সামনে পড়তে পারে অন্যান্যা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি, টটেনহাম, বায়ার্ন মিউনিখ, নাপোলি ও রিয়াল মাদ্রিদ। গতবারও গ্রুপে রানার্স-আপ হওয়ায় শেষ ষোলতে রিয়ালের সামনে পড়েছিল পিএসজি। পরে তো দলটির কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে আগেভাগেই বিদায় হয় তাদের।
এবারও কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়ার সামনে প্যারিসের ক্লাবটি। এমবাপ্পে অবশ্য বিচলিত নয় প্রতিপক্ষ নিয়ে। তিনি বলেছেন, (রানার্স-আপ হওয়ায়) এতে কিছু আসে-যায় না। আমরা কাজ করতেই এসেছি, যদিও এটা যথেষ্ট নয়। আমরা এখন ড্র (নকআউট পর্বের) দেখব এবং জেতার জন্য খেলব।